বয়স হয়েছে, এবার তরুণদের সুযোগ দিন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপিকে উদ্দেশ করে এমন আহ্বান জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম। মন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, আপনার বয়স হয়েছে, ১৫ বছর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এবার সরে যাওয়ার সময় হয়েছে।
দাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গাজীপুরের কাশিমপুর থানার হাতিমারা ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত এক নির্বাচনি সমাবেশে এ আহ্বান তিনি। শুক্রবার বিকালে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের (ট্রাক প্রতীক) সমর্থনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ সময় জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, গত ১৫ বছরে গাজীপুরে কে মানুষের জন্য কতটা করেছে, আর নিজের জন্য কতটা করেছে তার পরীক্ষা হবে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, এ পরীক্ষায় পাশ করে সংসদে যেতে হবে। সুতরাং কারচুপির কোনো সুযোগ নেই।
মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে গাজীপুর মহানগরের উন্নয়নে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কোনো সহযোগিতা পাননি- এমন অভিযোগ করে সাবেক এই মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধিরা যখন গার্মেন্টসের জুট ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে যান, জুট ব্যবসায়ীদের সমিতি খুলে বসেন, তখন জনগণের সেবা করার সময় ও সুযোগ তাদের হয় না। গত ১৫ বছরে আমরা এটাই দেখে এসেছি।
আসন্ন নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নতুন নেতৃত্ব দরকার।
রেজাউল করিম রাসেল বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম যে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন, তা সমাপ্ত করার আগেই তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে থমকে দাঁড়ায় গাজীপুর মহানগরের উন্নয়ন। এমনকি পরবর্তী সিটি নির্বাচনে তাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে দেওয়া হয়নি; কিন্তু মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও ভালোবাসার কারণে তার মা জায়েদা খাতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আসন্ন নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে পারলে মা-ছেলের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে রাসেল বলেন, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করাই আমার এবারের নির্বাচনি ইশতেহার।
শুক্রবার দিনব্যাপী কাশিমপুর থানার ছয়টি ওয়ার্ডে ট্রাক প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ ও সমাবেশ করেন রাসেল ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কাশিমপুর থানায় ট্রাক প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক আশরাফুল আলম (আসকর), ছাত্রলীগ নেতা সায়মন সরকার, সোলায়মান হোসেন প্রমুখ।
সূত্র: যুগান্তর